কী এই বালজিং ডিস্ক রোগ?

সম্প্রতি এক অসুখের শিকার হয়েছেন বলিউড তারকা অানুষ্কা শর্মা। এই প্রসঙ্গে অনুষ্কা বা বিরাট কোহালি কেউ মুখ না খুললেও বলিউড সূত্রে জানা গেছে, বালজিং ডিস্কে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তাই তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

কিন্তু জানেন কি, কেবল অানুষ্কাই নন, এখনই সাবধান না হলে আপনিও এই অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন। তুলনামূলকভাবে মেয়েরাই হাড়ের এই অসুখে বেশি আক্রান্ত হন। কী এই অসুখ, কী-ই বা তার লক্ষণ, কী করে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, চলুন জেনে নেই-

এক অস্থিবিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষ এই অসুখের শিকার হতে পারেন। যারা কায়িক পরিশ্রম, মূলত ঝুঁকে কাজ করেন বেশি, তাঁদের এই অসুখ বেশি হয়।

বালজিং ডিস্ক:
মেরুদণ্ডের দু’টি হাড়ের মাঝে শক অ্যাবসর্ভার (হঠাৎ ঝাঁকুনি সামাল দেওয়ার অংশ) হিসাবে নরম জেলির মতো থকথকে এক ধরনের পদার্থ থাকে। তার বাইরে একটি পাতলা আবরণও থাকে। ঝুঁকে কাজ, ভারী কোনও কাজ, এমনকি, জোরে হাঁটতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েও এই জেলির মতো অংশের আবরণ ফেটে গিয়ে ভিতরের জেলি বেড়িয়ে যায়। সুষুম্নাকাণ্ডের উপর সেই জেলি চাপ সৃষ্টি করে, ফলে শরীরের নানা স্নায়ুর উপরই চাপ পড়ে। এই কারণেই শরীরের নানা অংশে খুব যন্ত্রণা হয়। প্রথম থেকে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এই অসুখ থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।

চিকিৎসা:
বালজিং ডিস্ক প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে সম্পূর্ণ বিশ্রামই এর অন্যতম ওষুধ। বিশ্রামের সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় ব্যায়ামও করা উচিত। তবে অসুখ একান্তই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রোপচার এর একমাত্র উপায়। বিদেশে এই জেলির মতো অংশ প্রতিস্থাপনের প্রচলন আছে। এই অসুখ অবহেলা করলে পঙ্গুত্ব পর্যন্ত আসতে পারে।

উপসর্গ:
জেলি ফেটে বেড়িয়ে না এলে ব্যথা বোঝা যায় না। তাই এই অসুখের আক্রমণ হঠাৎই হয়।

সাবধানতা:
চিকিৎসকদের মতে এই অসুখ থেকে দূরে থাকতে বরাবরই ব্যায়াম ও মেডিটেশন অভ্যাস করা উচিত। মেডিটেশনে স্নায়ুর অসুখ দূরে থাকে। প্রধানত, পেটের সামনের দিকের ও পিঠের পিছনের দিকের কিছু ব্যায়াম এই অসুখ প্রতিহত করে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে এই ব্যায়াম অভ্যাস করা উচিত। নিত্য খাদ্যতালিকায় হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এমন খাবার, অর্থাৎ উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার রাখা উচিত সকলের।